রাজশাহীর বিখ্যাত নানারকম জাত ও সুমিষ্ট স্বাদ নিয়ে ফলের রাজা আম

ম্যাঙ্গিফেরা গনের সেপিন্ডেলস বর্গের অ্যানাকার্ডিয়েসিয়েই পরিবারের এক ধরনের সপুষ্পক উদ্ভিত হল আম । যার ইংরেজি শব্দ– Mango, সংস্কৃত নাম –আম্র, সংস্কৃত নাম– আম্র, বৈজ্ঞানিক নাম– ম্যাঙ্গিফেরা ইন্ডিকা এবং প্রতিশব্দ– ম্যাঙ্গিফেরা অস্ট্রোয়ুনানেনসিস। মুকুল হতে পরিপক্কতার পূর্ব পর্যন্ত (কাঁচা অবস্থায়)এর বর্ণ সবুজ ও পরিপক্ক অবস্থায় (পাকা অবস্থায়) হলুদ, কমলা ও লাল বর্ণ ধারণ করে। 

প্রায় সাড়ে ৬০০ বছরেরও পূর্বে দক্ষিন এশিয়ায় সর্ব প্রথম আমের অনুসন্ধান পাওয়া যায়। উষ্ণতা শোষনক্ষম হওয়ায় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে এই ফলের দেখা মিলে। বলা হয়ে থাকে,আম  ভারতীয় উপমহাদেশীয় ফল। সারা বিশ্বে প্রায় ৪০ প্রজাতির আম রয়েছে এবং এই  আমেরই বিভিন্ন/ অসংখ্য/ শতাধিক জাত রয়েছে। বাংলাদেশের রাজশাহী ও চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলায় সব চেয়ে বেশি আম উৎপাদন হতো কিন্তু বর্তমানে নওগাঁ জেলা আম উৎপাদনের শীর্ষে অবস্থান করছে।  

গাঠনিক দিক দিয়ে আম বেশ পরিপুষ্ট একটি ফল, যেটির উপরের অংশ বেশ গাঠনিক হলেও নিচের অংশ একটু বাঁকানো, যদিও বর্তমানে নানা প্রজাতি আসাতে এর আকৃতির কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় হওয়ায় এই ফলের স্বাদ অনেক বেশি, বিশেষত অপরিপক্ক ও পরিপক্ব দুই অবস্থাতেই এই ফল খাওয়া যায়।  অপরিপক্ক অবস্থায় এর  স্বাদ বেশ টক(কাঁচামিঠা নামক আমে, পরিপক্ব অপরিপক্ক সকল অবস্থায় মিষ্টতা দেখা যায় ) এবং পরিপক্ব অবস্থায় এটি সুমিষ্টতায় পরিবর্তিত হয়। 

 আম গাছকে বাংলাদেশের জাতীয় গাছ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ভারত এবং বাংলাদেশে

আমকে ফলের রাজা বলা হয়। ভারতের জাতীয় ফল আম। দর্শনে, স্বাদে ও গন্ধে আম প্রথম স্থান দখল করে রেখেছে।আম ফল ও সবজি হিসেবে খাওয়া যায় ।  আম দ্বারা নানারকম খাদ্য তৈরি করা সম্ভব হাতে তৈরি– জ্যাম, জেলি, আচার, মোরব্বা, আমসত্ত্ব। এছাড়াও প্রক্রিয়াজাত– নানারকম কেক, পঠা, চকলেট, জুস। বর্তমানে, রাজশাহীতে আমের জিলাপি পাওয়া যায়। 

আম মূলত বৃক্ষ জাতীয় গাছ। আমের বিজ থেকে ৪-৬ সপ্তাহের মধ্যেই চারা উৎপন্ন হয়। জাত অনুযায়ী আমের ফলন হয়ে থাকে। বর্তমানে খুব সল্প সময়ে আমের ফলন হয়ে থাকে, যা আম চাষিদের জন্য ইতিবাচক একটি দিক। আম গাছ বহু বছর পর্যন্ত জীবিত থাকে । কিছু কিছু প্রজাতির আম গাছ প্রায় ৩০০-৫০০ বছর পর্যন্ত বাঁচে। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত এই গাছকে ফলবতী হিসেবে দেখা যায়।  

সাধারনত আম গাছ ৩০-৪০ মিটার লম্বা এবং আনুমাকিক ১০-২০ মিটার পর্যন্ত ব্যাসার্ধের  হয়ে থাকে। এর প্রধান মূল মাটির নিচে ৬ মিটার পর্যন্ত গভীর হয়ে থাকে। আম গাছের কচি পাতা নরম, কালচে লাল, গোলাপি বর্ণের এবং পরিণত পাতা  চির সবুজ, সরল রৈখিক, অগ্রভাগ সুচালো, পর্যায় ক্রমিক, লম্বাতে ১৫-৩৫ সে.মি. এবং চওড়াতে ৬-১৬ সে.মি. পর্যন্ত হয়ে থাকে। আমের মুকুল হতে শুরু করে পরিপক্ব/ পরিণত অবস্থায় যেতে সময় লাগে ৩-৬ মাস। 

বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার “কানসাট আম বাজার” এশিয়ার সর্ব বৃহৎ আম বাজার। এর পরে রাজশাহীর  বানেশর হাট, বৃহৎ পরিসরে রয়েছে । এ সকল স্থান থেকে সারা বাংলাদেশ এবং দেশের বাইরে আম বিক্রয়  -* -হয়ে থাকে।

বাংলাদেশে প্রায় ৩৫-৪০ আম রয়েছে এবং এগুলোর বিভিন্ন প্রজাতিগুলো হলঃ

১। গোপালভোগ

২। হিমসাগর/ ক্ষিরসাপাত

৩। ল্যাংড়া

৪। লখনা

৫। আম্রপালি

৬। আশ্বিনা 

নামঃ আম  

ইংরেজি শব্দঃ Mango

সংস্কৃত নামঃ আম্র 

 বৈজ্ঞানিক নামঃ ম্যাঙ্গিফেরা ইন্ডিকা

প্রতিশব্দঃ ম্যাঙ্গিফেরা অস্ট্রোয়ুনানেনসিস

লোকেশন/ অবস্থানঃ  রাজশাহী, নাটোর, চাঁপাই নবাবগঞ্জ

জগতঃ উদ্ভিত

ধরনঃ সপুষ্পক উদ্ভিত

বর্গঃ সেপিন্ডেলস 

পরিবারঃঅ্যানাকার্ডিয়েসিয়েই

গনঃ  ম্যাঙ্গিফেরা

প্রজাতিঃ এম. ইন্ডিকা

জেলাঃ রাজশাহী 

বিভাগঃরাজশাহী

দেশঃ বাংলাদেশ

অঞ্চলঃ উত্তরাঞ্চল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *